আজ (বৃহস্পতিবার) বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ত্রয়োদশ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব ডঃ আহমদ কায়কাউস এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের বিদ্যুৎ সচিব শ্রী অজয় কুমার ভাল্লা।
সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাত সংক্রাšত বিরাজমান বিষয়সমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এসময় রামপালে বাস্তবায়নাধীন মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানি কর্তৃক রামপাল বি-ব্লকে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় ভেড়ামারা ও ত্রিপুরা ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির বর্তমান অবস্থা, ভেড়ামারা ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে বর্তমানে আমদানিকৃত ২৫০ মেঃওঃ বিদ্যুৎ দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় আমদানির অগ্রগতি, সুর্যমনি-কুমিল্লা নর্থ লিংকের মাধ্যমে জি টু জি এর আওতায় এনটিপিসি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে আরো ৩৪০ মেঃওঃ বিদ্যুৎ আমদানি, কাটিহার-পার্বতীপুর-বড়পুকুরিয়া-বরানগর ৭৬৫ কেভি গ্রিড ইন্টারকানেকশন ও বহরমপুর-ভেড়ামারা ৪০০ কেভি ২য় ইন্টারকানেকশন বাস্তবায়ন ও সুর্যনগর-কুমিল্লা নর্থ লিংকের মাধ্যমে আরো বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে কুমিল্লায় ব্যাক টু ব্যাক এইচভিডিসি সাব-স্টেশন নির্মাণের সম্ভাবনাসহ বিদ্যুতের ক্রস বর্ডার ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়।
স্টিয়ারিং কমিটির সভায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বিদ্যমান বহরমপুর-ভেড়ামারা ইন্টারকানেশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানীর অগ্রগতি পর্যালোচনা, ভারতের রিলায়েন্স, সাপুরজি-পালনজি ও আদানী গ্রুপের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের বর্তমান অবস্থাসহ ভারতীয় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে অংশগ্রহণ, বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে ভারতে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা, বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে অংশগ্রহণ, নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানীর সম্ভাবনা এবং জিএমআর কর্তৃক নেপালে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানী, ভুটানের ১১২৫ মেগাওয়াট কুরী-১ হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্টে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের যৌথ বিনিয়োগ ও এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানীসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার বিষয় বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় উভয় পক্ষ রামপালে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানী কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে গতকাল বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট ওয়ার্কি গ্রুপের ১৩ তম বৈঠক বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গতবছরের ডিসেম্বরে দিল্লীতে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দ্বাদশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।