প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেছেন, ইতিহাস বিশ্লেষণ করে নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করতে হবে। বাংলাদেশের সাংস্কৃতি-ভাষা-চেতনা বঙ্গবন্ধুর সমার্থক। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বাংলাদেশের প্রতি পাকিস্তানিদের বৈষম্য আলোকপাত করেন।
উপদেষ্টা জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা” শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ব½বন্ধুকে নিয়ে আরো গবেষণা করা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলেই উন্নত বাংলাদেশের শক্ত ভিত নির্মিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্ভর একটি সময়োপোযোগী আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। বাস্তবায়ন করেছিলেন হাজারো কর্মসূচী। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্যাস ক্ষেত্র ক্রয় করে; জ্বালানি তেলের মজুদ, সরবরাহ ও বিতরণে কোম্পানি গঠন করে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপরিসীম অবদান রেখেছেন। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের জন্য গঠন করেছিলেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সোনার বাংলা বিনির্মাণে মানীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প-২০২১, রূপকল্প-২০৪১, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই প্রায় সমগ্র দেশ বিদ্যুৎ খাতের আওতায় এসেছে; মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে; ২০৪১ সালের পূর্বেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে। জ্বালানি বিষয়ক মুলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ ও বিদ্যুৎ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন। মূখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ বেলায়েত হোসেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুল ফাত্তাহ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্ণেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (অব:) বীর প্রতিক সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।